হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সাবেক এমপিসহ ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলাল মিয়ানমার জান্তা



সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এক সংসদ সদস্যসহ চার গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার।


সোমবার (২৫ জুলাই) এ রায় কার্যকর করা হয়।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন অং সান সু চির দল এনএলডির সাবেক সংসদ সদস্য ফিও জেয়র থাও, বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী নেতা কিয়াউ মিন ইউ, হ্লা মিয়ো অঙ্গ এবং অঙ্গ থুরা ঝেও।


আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমেত, ক্ষমতা দখলকারী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ায় অভিযোগ গত জানুয়ারিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ রায়ের পর তখন বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ১৯৮০ সালে পর মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নজির ছিল না। এই চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে ফের বিচারিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।


উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকার হঠিয়ে ক্ষমতার পূর্ণ দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনীর। পরে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে জান্তা সরকার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে কঠোর হয় সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বহু নাগরকিকে হত্যা করা হয়। সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ