হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সিঙ্গাপুরে ইসলাম-বিদ্বেষী ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ

 




সিঙ্গাপুর সরকার ভারতে নির্মিত একটি ইসলাম-বিদ্বেষী সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে। দেশটি জানিয়েছে, ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’ নামক এই ছবির কাহিনি ও দৃশ্য সিঙ্গাপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করছে এবং দেশটিতে অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণেই একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


৫৫ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত সিঙ্গাপুরে মূলত চীনা, মালয়ু এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বসবাস। এদের একটি বড় সংখ্যা মুসলমান।


সিঙ্গাপুর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, দ্য কাশ্মির ফাইলস নাম সিনেমায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে একতরফা ও উসকানিমূলক প্রচার চালানো হয়েছে যা সিঙ্গাপুরে বসবাসরত নাগরিকদের মধ্যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা উসকে দিতে পারে। সিঙ্গাপুরের চলচ্চিত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, দেশটির সংস্কৃতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, কাহিনি ও দৃশ্যের কারণে চলচ্চিত্রটি মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি করতে পারে। দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ার ফলে সিঙ্গাপুরের সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।


সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়ে কাশ্মীর থেকে হিন্দু পণ্ডিতদের কথিত গণপ্রস্থান বা গণবিতাড়ন নিয়ে “দ্য কাশ্মীর ফাইলস” সিনেমাটি গত ১১ মার্চ ভারতে মুক্তি পায়। ছবিটি মুক্তির পর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের শাসনে থাকা ভারতের বক্স অফিসে সাড়া ফেললেও এটিতে হিন্দুদের নিপীড়ণের নামে অত্যন্ত উস্কানিমূলক এবং একতরফা মুসলিম বিদ্বেষ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সমালোচকরা বলছেন, সিনেমাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অর্ধসত্য ও অনেকটা মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি বানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা হয়।


ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন রাজনীতিবিদ এই সিনেমা তৈরিতে আর্থিক যোগান দেন। মুসলিম-বিদ্বেষী সিনেমাটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে বিজেপি-শাসিত অনেক রাজ্যই সিনেমাটিকে করমুক্ত বলে ঘোষণা করে।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ