জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট পদে মার্কোস জয়ী

 




ফিলিপাইনের সাবেক একনায়ক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র (৬৪) এবার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন। গতকাল সোমবার ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। এর ফলে ৩৬ বছর পর আবারও একই পরিবারের হাতে ক্ষমতা ফিলে এলো।


ফ্রান্স২৪, নিক্কেই এশিয়া, ডয়েচে ভেলেসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।


এদিন মার্কোসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রেব্রেদো পেয়েছেন ২৮ শতাংশের মতো ভোট। ২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কোস জুনিয়রকে হারান তিনি।


বেসরকারিভাবে ফলাফল হাতে পাওয়ার পর মার্কোস তার সদর দপ্তর থেকে এক ভিডিও বার্তায় বিজয় ঘোষণা না করেই সমর্থক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‌‘আমাদের লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই ধন্যবাদ।’


মার্কোস আরও বলেন, ‘কোনো প্রচেষ্টা যত বড়ই হোক না কেন তা কেবল একজন ব্যক্তিকে জয়ী করে না। এতে অনেক, অনেক মানুষ ভিন্ন উপায়ে কাজ করে।’


এর আগে ফিলিপাইনের নির্বাচনে লাখ লাখ মানুষ তাদের পছন্দের নেতাকে বেছে নিতে কেন্দ্রে হাজির হন। এদিন রেকর্ড পরিমাণে ৬ কোটি ৭০ লাখ ভোটার তাদের পছন্দের প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন।


সোমবারের নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১২ সিনেটর, নিম্নকক্ষের ৩০০ জন সদস্য এবং মেয়র, গভর্নরসহ ১৮ হাজার কর্মকর্তা নির্বাচিত হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনেটর ছাড়া বাকিরা তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।

মন্তব্যসমূহ