শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

আজারবাইজানের ৭ সেনা নিহত, আর্মেনিয়ার নিখোঁজ ২৪ জন

 





আর্মেনিয়ার সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষে আজারবাইজানের ৭ সেনা নিহত হয়েছে। 


আর্মেনিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলছে, আজারবাইজানের সেনারা তাদের ১৩ সেনাকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে তাদের ১ সেনা নিহতসহ আরও ২৪ সেনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 


ঘটনার জন্য উভয়পক্ষ বিপরীত পক্ষকে দোষারোপ করছে।


আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের সেনারা তাদের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে।  


অন্যদিকে, আজারবাইজান সরকার আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের উসকানির অভিযোগ তুলেছে।


কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনাকে, গত বছরের ৪৩ দিনের যুদ্ধের পর সব চেয়ে বড় ধরনের সঙ্ঘাত বলে উল্লেখ করেছে। 


২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৪৩ দিনব্যাপী এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের ব্যাপক সংখ্যক সেনা হতাহত হয়। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির পরও উভয় পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।  


সর্বশেষ সংঘাতের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরজেই সইগু উভয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী উভয়পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। 


আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ান সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। 


জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক রবিন ফরেস্টিয়ার জানিয়েছেন, বুধবার উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি পালন করেছে।


আল জাজিরার এই সাংবাদিক বলেন, গত বছরের নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘর্ষের পর আমরা সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ দেখতে পেয়েছি। তবে এবার ঘটনাস্থল নাগোর্নো-কারাবাখ নয়। আর্মেনিয়া দাবি করেছে, তাদের সার্বভৌম সীমান্তের ভেতরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 


সাংবাদিক ফরেস্টিয়ার বলেন, আর্মেনিয়ার সঙ্গে ইরানের সীমান্ত ও আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্তস্থল ‘নাকচিভানে’ এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

মন্তব্যসমূহ