হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

 




গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা এবং জেরুজালেমে বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক লাখ মানুষ। শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিও অংশ নেন।


স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মে) সকাল ১১টা থেকেই সেন্ট্রাল লন্ডনের মার্বেল আর্চ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ইসরাইল-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। 'ইসরাইল বের হও’ এবং 'ফিলিস্তিনের জন্য স্বাধীনতা'সহ নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীরা হাইড পার্ক হয়ে লন্ডনস্থ ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে এসে সমাবেশ করে।


লেবার দলের সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন ছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার দলীয় এমপি লিসা নন্দী, জারাহ সুলতানা, লন্ডনে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের অ্যাম্বাসেডর হুসাম জুমলটসহ অনেকে। এই আগ্রাসন বন্ধের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে রাখার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় হামলা বন্ধে ব্রিটিশ সরকারকে ইসরাইলের চাপ প্রয়োগের দাবি জানান।


ফ্রেন্ডস অব আল আকসা, প্যালস্টাইনিয়ান ফোরাম ইন ব্রিটেন, মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটেনসহ ছয়টি সংগঠন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলমান এই বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিরাও অংশ নেন।


বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন যুবক লন্ডনের একটি ভবনে উঠে ব্রিটেনের পতাকা নামিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা টানিয়ে দেন। লন্ডন ছাড়াও ব্রিটেনের লিডস, কার্ডিফসহ বেশ কয়েকটি শহরের একই ধরণের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


মন্তব্যসমূহ