জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

গাজায় ইসরায়েলের দশম দিনের হামলা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৮

 




ইসরায়েলের দশম দিনের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ তে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় হাজারের মতো।


সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।


এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১০ মে গাজায় হামলা শুরুর পর জো বাইডেন এখন পর্যন্ত তিনবার কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে। বাইডেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তাকে গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।


ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি প্রধান জোসেপ বোরেলও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।


ইতোমধ্যে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আজ বুধবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, গতকাল মধ্যরাত ও আজ ভোরে গাজা থেকে মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট ছোড়া হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের তেল নফ, নেভাতিম ও র‌্যামন এলাকায় বিমানঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়। এর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানকার নতুন নতুন স্থানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।


এ দিকে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান গতকাল সশস্ত্র সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গাজায় এই সংঘাত চলমান থাকলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ‘ভুল পথে পরিচালিত’ করবে।


নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ১৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানকার একমাত্র করোনা পরীক্ষার ল্যাবটিও অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।


এছাড়াও, গাজার প্রায় আট লাখ অধিবাসীর জন্যে পানীয় জলের সরবরাহ লাইন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।


প্রায় ২০ লাখ মানুষের গাজা উপত্যকায় চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


মন্তব্যসমূহ