ইসরায়েলের দশম দিনের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ তে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় হাজারের মতো।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১০ মে গাজায় হামলা শুরুর পর জো বাইডেন এখন পর্যন্ত তিনবার কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে। বাইডেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তাকে গাজায় হামলা বন্ধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি প্রধান জোসেপ বোরেলও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বুধবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, গতকাল মধ্যরাত ও আজ ভোরে গাজা থেকে মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট ছোড়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের তেল নফ, নেভাতিম ও র্যামন এলাকায় বিমানঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়। এর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানকার নতুন নতুন স্থানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ দিকে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান গতকাল সশস্ত্র সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গাজায় এই সংঘাত চলমান থাকলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে ‘ভুল পথে পরিচালিত’ করবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ১৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখানকার একমাত্র করোনা পরীক্ষার ল্যাবটিও অকেজো করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, গাজার প্রায় আট লাখ অধিবাসীর জন্যে পানীয় জলের সরবরাহ লাইন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ২০ লাখ মানুষের গাজা উপত্যকায় চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ