হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নিহত ১১৪ : ১২ দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানের নিন্দা

 





মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস অবস্থানে সারাদেশে অন্তত ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে দেড় মাসের বেশি সময় চলা এই বিক্ষোভে শনিবার এই রক্তাক্ত দিনের পর রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে ১২ দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান নিন্দা জানিয়েছেন।


বিবৃতিতে বলা হয়, 'পেশাদার সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক আদর্শ নীতিমালা অনুসরণ করে এবং সেবা দেয়া জনগণকে ক্ষতি নয় বরং রক্ষা করে। আমরা মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সহিংসতা বন্ধ করার জন্য এবং তার পদক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ানমারের যে সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি হয়েছে, দেশের জনগণের সাথে তা পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করার।'


যৌথ এই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা প্রধানরা স্বাক্ষর করেন।


শনিবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণে বিপুল বিক্ষোভকারীর হতাহতের জেরে জাতিসঙ্ঘের তদন্তকারী 'গণহত্যা' হিসেবে উল্লেখ করেন।


অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান দল জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস (জিএসসিএন) এক ফেসবুক পোস্টে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।


ওই পোস্টে বলা হয়, 'আমাদের নায়কদের আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি যারা বিপ্লবে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই বিপ্লবে আমরা অবশ্যই জিতবো।'


এদিকে রাজধানী নেপিদোতে শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্যারেডে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশবাসী ও দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।


সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনী সমগ্র জাতির কাছে গণতন্ত্র রক্ষায় সহযোগিতার প্রত্যাশা করছে।'


১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।


সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।


সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্যসমূহ