হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে হারের রেশ; সরকারি ভবনে ঢুকে পড়ল বিরোধীরা

 




আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে সেদেশের রাজধানীর একটি সরকারি ভবনে ঢুকে পড়েছে বিক্ষোভকারীরা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ (সোমবার) রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনে ঢুকে পড়ে। এ সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও তাদেরকে কোনো বাধা দেয়নি।


গত বছর নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের কাছে আর্মেনিয়ার পরাজয়ের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা তাকে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করছে। সম্প্রতি এই বিক্ষোভ জোরদার হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতার পেছনে সেনাবাহিনী রয়েছে এবং সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট এ ধরণের অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি এবং সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।


বিক্ষোভকারীরা কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের জন্য পাশিনিয়ান সরকারকে দায়ী করে আসছে। তবে রাজপথে পাশিনিয়ানের সমর্থকেরাও সক্রিয় রয়েছেন। তারাও রাজপথে নেমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের সমর্থন ঘোষণা করছেন।


গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং আজারবাইজানের ভূখণ্ড ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার পাঁচ হাজার সেনা মারা গেছে বলে জানা গেছে।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ