হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

নিষেধাজ্ঞা দিলে ইউরোপ-আমেরিকা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: এরদোগান

 





তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান তার দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে; এতে কেউ লাভবান হবে না।


গতকাল (শুক্রবার) তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি বা একে পার্টির সদস্যদের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। এরদোগান বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক নষ্ট করা ঠিক হবে না।  


এসময় তিনি ইউরোপ ও আমেরিকার রাজনীতিকদের তুর্কি-বিরোধী প্রভাবশালী লবি ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানান। এরদোগান বলেন,  এমন কোনো সমস্যা নেই যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়।


বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্কের কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নে একমত হন। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান করতে গিয়ে তুরস্ক প্রতিবেশী গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ফ্রান্সের মতো ইউরোপের প্রভাবশালী দেশের সঙ্গেও তুরস্কের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।


এদিকে, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য তুরস্কের বিরুদ্ধে আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন এরদোগান। তিনি বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ন্যাটো সদস্যদের দেশের জন্য অপমানজনক।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ