হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আলেমদের কুরআনের জ্ঞানের পাশাপাশি কনভেনশনাল জ্ঞানেও দক্ষ হতে হবে: আজহারী




সমাজে প্রভাব বিস্তারকারী প্রত্যেক আলেমকে তার প্রভাব কাজে লাগিয়ে ইসলামের ব্যাপারে পজেটিভ মাইন্ডসেট তৈরি করা উচিত। আলেমদের কুরআনের জ্ঞানের পাশাপাশি কনভেনশনাল জ্ঞানেও দক্ষ হতে হবে। বললেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে আজহারী বলেন, মুহতারাম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবকে মোবারকবাদ। সকল ইসলামপন্থীর প্রতি দরদ রেখে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করলে, এভাবেই সর্বমহল থেকে এপ্রিসিয়েশন অর্জিত হয় এবং এতে করে ইসলামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপলক্ষ্য তৈরি হয়। আর দলমত নির্বিশেষে ইসলামের জন্য তাওহিদপন্থীরা এভাবে সব একাকার হয়ে যায়। উম্মাহ দরদী না হয়ে, উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং উজ্জীবিত করা অসম্ভব।


আলেমদের দ্বারাই সমাজের মানুষকে সঠিক দিক নির্দেশনা পরিচালিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরও লিখেন, আলেমদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এদেশের লোকদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা। ইসলামের ব্যাপারে পজেটিভ মাইন্ডসেট তৈরি করা। আপনাকে জাগতে হবে, জাগাতে হবে এবং ভ্যালু ক্রিয়েট করতে হবে। তা না হলে লোকজন আপনাকে শুনবে না, মানবেও না। আর সেটা হবে গবেষণাধর্মী, সমাজমুখী এবং উৎপাদনমুখী কাজের মাধ্যমে। আলেম ওলামাদের কুরআন সুন্নাহর জ্ঞানের পাশাপাশি কনভেনশনাল জ্ঞানেও সমানভাবে দক্ষ হতে হবে।


স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো

মুহতারাম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবকে মোবারকবাদ। সকল ইসলামপন্থীর প্রতি দরদ রেখে ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করলে, এভাবেই সর্বমহল থেকে এপ্রিসিয়েশন অর্জিত হয় এবং এতে করে ইসলামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপলক্ষ্য তৈরী হয়। আর দলমত নির্বিশেষে ইসলামের জন্য তাওহিদপ্ন্থীরাও এভাবে সব একাকার হয়ে যায়। উম্মাহ দরদী না হয়ে, উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং উজ্জীবিত করা অসম্ভব।

প্রত্যেক ইনফ্লুয়েন্সিয়াল আলেম ও দ্বা’য়ীদের উচিত— তাদের ইনফ্লুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে, এদেশের লোকদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা। ইসলামের ব্যাপারে পজেটিভ মাইন্ডসেট তৈরী করা। আপনাকে জাগতে হবে, জাগাতে হবে এবং ভ্যালু ক্রিয়েট করতে হবে, তা নাহলে লোকজন আপনাকে শুনবে না, মানবেও না। আর সেটা হবে গবেষণাধর্মী, সমাজমুখী এবং উৎপাদনমুখী কাজের মাধ্যমে। আলেম ওলামাদের কুরআন সুন্নাহর জ্ঞানের পাশাপাশি কনভেনশনাল জ্ঞানেও সমানভাবে দক্ষ হতে হবে।

চলমান জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আলেম ওলামাদের তেমন কোন প্রজেক্ট নেই ,কারন তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে বেশী ভালবাসে। কাফির, বাতিল এবং ইহুদিদের দালাল— এই ডায়লগগুলো যেন একশ্রেণীর আলেম ওলামাদের ঠোঁটে সবসময় লেগে থাকে। এসব থেকে ফিরে আসতে হবে। অনেক হয়েছে, আর না। একে অন্যকে শত্রু জ্ঞান না করে “রুহামাউ বাইনাহুম” তথা একে অন্যের প্রতি কোমল ও সৌহার্দপূর্ণ হতে হবে। সকল ইসলামপন্থীর প্রতি হৃদয়ভরা দরদ নিয়েই, এক সাথে ইসলামের জন্য কাজ করে যেতে হবে।

মন্তব্যসমূহ