হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চলে গেলেন কাবা ঘরের দরজার নকশাকার

 





পবিত্র কাবা ঘরে স্থাপিত দরজার নকশাকার প্রকৌশলী মুনির আল জুনদি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জার্মানির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


গলফ টুডের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালে সৌদির তৎকালীন বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ সোনা দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণের নির্দেশ দেন। সেই দরজার নকশা করার জন্য নির্বাচন করা হয় প্রকৌশলী মুনির আল জুনদিকে।


সৌদির ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মানসুর আল আসসাফ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ পবিত্র কাবা ঘরের দরজা নির্মাণের দায়িত্ব মক্কার আলে বদর পরিবারের ওপর অর্পণ করেন। প্রায় দেড় বছরের মধ্যে দরজার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।


তিনি আরও জানান, এরপর ১৩৯৮ হিজরিতে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ আহমদ বিন বদরকে খাঁটি সোনা দিয়ে পুনরায় দরজা নির্মাণ করতে বলেন। তখন প্রকৌশলী মুনির আল জুনদি নকশাটি করেন। দরজাটির দৈর্ঘ তিন মিটার ও প্রস্থ দুই মিটার। এর পুরুত্ব প্রায় অর্ধ মিটার। থাইল্যান্ডে উৎপাদিত ম্যাকা কাঠ দিয়ে দরজাটি তৈরি করা হয়। এই কাঠ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ বলে স্বীকৃত।


প্রকৌশলী মুনির আল জুনদির জন্ম সিরিয়ার হেমস শহরে। নকশাকার হিসেবে পবিত্র কাবার দরজার ওপর তার নাম লেখা আছে। সিদ্ধান্ত মতে দরজার নকশাটি প্রস্তুত করা হয় জার্মানিতে। তবে সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, নকশার কাজ অবশ্যই কোনো মুসলিম প্রকৌশলীকে করতে হবে, যেন তার নাম দরজায় লিখে রাখা যায়। অবশেষে মুনির আল জুনদি এই দায়িত্ব পান।

মন্তব্যসমূহ