জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

চীনে কয়লা খনিতে বিষাক্ত গ্যাসে ১৮ শ্রমিকের মৃত্যু

 




চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।


শুক্রবার (৪ ডিসেম্বরের) বিকেলের দিকে চঙকিং শহরের দিয়াশুইডং কয়লা খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়লা খনিটিতে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের ভয়াবহ তীব্রতায় শ্রমিকরা প্রাণ হারান।


ওই খনিতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। অভিযান চালিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 


খনিটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কোম্পানির মালিককে এখনো আটক করা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে দুই মাসেরও বেশি সময়ের জন্য খনিটি বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  


বিশ্বের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ খনিগুলোর বেশিরভাগই চীনে। গেল সেপ্টেম্বরে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।


প্রতিবছরই চীনের বিভিন্ন প্রদেশে কয়লা খনিতে শ্রমিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিপজ্জনক খনিতে কাজ করে আসছেন অনেকে। নির্মম এসব মৃত্যুতে মানবাধিকার সংস্থাগুলি উদ্বেগ জানিয়ে আসলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না শি জিনপিং সরকার ।

মন্তব্যসমূহ