শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

চীনে কয়লা খনিতে বিষাক্ত গ্যাসে ১৮ শ্রমিকের মৃত্যু

 




চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।


শুক্রবার (৪ ডিসেম্বরের) বিকেলের দিকে চঙকিং শহরের দিয়াশুইডং কয়লা খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়লা খনিটিতে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের ভয়াবহ তীব্রতায় শ্রমিকরা প্রাণ হারান।


ওই খনিতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। অভিযান চালিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 


খনিটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কোম্পানির মালিককে এখনো আটক করা যায়নি। তদন্তের স্বার্থে দুই মাসেরও বেশি সময়ের জন্য খনিটি বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  


বিশ্বের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ খনিগুলোর বেশিরভাগই চীনে। গেল সেপ্টেম্বরে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।


প্রতিবছরই চীনের বিভিন্ন প্রদেশে কয়লা খনিতে শ্রমিক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বিপজ্জনক খনিতে কাজ করে আসছেন অনেকে। নির্মম এসব মৃত্যুতে মানবাধিকার সংস্থাগুলি উদ্বেগ জানিয়ে আসলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না শি জিনপিং সরকার ।

মন্তব্যসমূহ