শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

তুরস্কে সেনাকর্মকর্তাসহ ৩৩৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

 




তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুাত্থানের দায়ে সেনা কর্মকর্তাসহ ৩৩৭ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করে। 


২০১৬ সালে ১৫ জুলাই তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে রাজধানী আঙ্কারার কাছের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উৎখাতের চেষ্টা শুরু হয়। 


এ ঘটনায় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর কমান্ডারসহ ৫০০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। খবর-বিবিসি। 


এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত ধর্মগুরু ও ব্যবসায়ী ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছে।


ওই সময় যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ট্যাংক নামিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের চেষ্টা করা হয়। সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আড়াই শতাধিক মানুষ। 


দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পাইলট রয়েছেন। বিমানবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার আকিন ওজতার্কসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ও পার্লামেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে বোমা হামলা চালানোর নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদেরকে ক্রমবর্ধমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মানে হচ্ছে এই দণ্ডপ্রাপ্তরা প্যারোল সুবিধা পাবেন না।


২০১৬ সালের ১৫ জুলাই রাতে কোনো বড় কারণ ছাড়াই অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালায় সামরিক বাহিনীর একাংশ। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনী রাজপথে অবস্থান নেয়। অভ্যুত্থানকারী সেনারা বিমান হামলা চালালেও তা রুখে দেয় নিরস্ত্র জনতা। 

 

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের দল জাস্টিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) ইস্তানবুলের দফতরেও হানা দেন বিদ্রোহী সেনা সদস্যরা।

 

অভ্যুত্থানের শুরুতেই সেনাপ্রধান জেনারেল হুলিসিয়াকে বন্দি করা হয়। ইস্তানবুল সেনানিবাসের সৈনিক ও কর্মকর্তারা অভ্যুত্থান সমর্থন করেনি। 

 

নৌবাহিনীপ্রধান এবং বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক অভ্যুত্থান প্রয়াসের বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন শহর ও সেনানিবাসে অভ্যুত্থানকারীরা সরকারের অনুগত সহকর্মী ও জনতার প্রতিরোধের মুখে একের পর এক আত্মসমর্পণ করতে থাকে। 

 

এতদসত্ত্বেও এরদোগান জনগণকে রাস্তায় থাকতে বলেন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাস্তায় অবস্থান করে। অভ্যুত্থান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কঠিন ও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।

 

তুর্কি শান্তি পরিষদ নামের বিদ্রোহী সেনাদের সংগঠনের এই অভ্যুত্থানে অন্তত ২৫১ জন নিহত এবং ২২০০ জনের বেশি আহত হন। আঙ্কারায় তুরস্কের পার্লামেন্ট ভবন ও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। গুলির শব্দ আঙ্কারা ও ইস্তানবুলের প্রধান বিমানবন্দর থেকেও শোনা যায়। 

 

অভ্যুত্থানের পর গণগ্রেফতার শুরু করে সরকার। আটক করা হয় ৪০ হাজার মানুষকে। এর মধ্যে ১০ হাজার সেনা। দুই হাজার ৭৪৫ জন বিচারককেও আটক করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়। ২১ হাজার শিক্ষকের লাইসেন্স বাতিল করে সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তুর্কি সরকার।

মন্তব্যসমূহ