হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আমি পূজা উদ্বোধন করিনি, তবু ক্ষমা চাইছি : সাকিব

 




কলকাতায় সাকিব আল হাসান একটি পূজামণ্ডপে কালীপূজা উদ্বোধন করেছেন। গত ১২ নভেম্বর এমন খবর গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে।


সেই সমালোচনা চলছিলই। এতদিন এই বিষয়ে মুখ খুলেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবশেষে সাকিব প্রকাশ্যে আসলেন তার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। জানালেন, যা ছড়িয়েছে সেই খবর সত্যি নয়। পূজা উদ্বোধন করেননি বলেই দাবি করলেন সাকিব। তবে পূজামণ্ডপে গিয়েছেন বলে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।


সাকিব ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘অবশ্যই ঘটনাটি স্পর্শকাতর। আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান মনে করি। ভুল-ত্রুটি হবেই। ভুল-ত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্যও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’


এরপর পুরো ঘটনাটি খোলাসা করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় এসেছে আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। কিন্তু আসলে আমি পূজা উদ্বোধন করতে যাইওনি, করিওনি। এটির প্রমাণ আপনারাও পাবেন। ওখানে অনেক সাংবাদিক ভাই ছিলেন, যাদের ওখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এছাড়া কার্ডে লেখাও আছে কে আসলে পূজা উদ্বোধন করেছেন এবং সেটি উদ্বোধন হয়েছে আমি যাওয়ার আগেই।’


‘যে জায়গাটিতে আমাদের অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেটি পূজামণ্ডপ ছিল না। সেখানে একটি স্টেজ ছিল। পুরো অনুষ্ঠানটি সেখানে করা হয়। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট আমি সেখানে ছিলাম। সেখানে ধর্ম-বর্ণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি।’


তবে পূজামণ্ডপে গিয়েছিলেন, সেটি অস্বীকার করেননি সাকিব। কেন গিয়েছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন। সাকিব বলেন, ‘সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চের পাশেই পূজামণ্ডপ ছিল। গাড়িতে আমার ওঠতে হবে, অনেকগুলো রাস্তা বন্ধ ছিল। তাই পূজামণ্ডপ পার হয়েই আমার যেতে হতো। যাওয়ার সময় পরেশ দা; যিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তার অনুরোধে আমি প্রদীপ প্রজ্বলন করি। যেহেতু আমি কলকাতায় অনেকদিন খেলেছি, কলকাতার মানুষ আমাকে অনেক পছন্দ করেন। তাই সবার অনুরোধে সেখানে ছবি তুলতে দাঁড়াতে হয়।’


‘ছবি তুলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়, হাতাহাতিও হয় কিছুটা। সেই ঘটনার কারণে আসলে আমরা ওদিক দিয়ে আর যেতে পারিনি। পরে অন্য রাস্তা দিয়ে গিয়েছি। পুরো ঘটনাটি ছিল এরকম।’


পূজা উদ্বোধন করেছেন যিনি, তার পরিচয়ও ওই ভিডিওতে দিয়েছেন সাকিব। কার্ডে তার পরিচয় এভাবে লিখা- ফিরহাদ হাকিম, প্রশাসনিক প্রধান, কলকাতা পৌরসভা, মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


তারপরও যেহেতু মুসলিম হয়েও পূজামণ্ডপে গিয়েছেন, তাই এটাকে ভুল হিসেবে মেনে নিচ্ছেন সাকিব। তার কথা, ‘হ্যাঁ, যেটা হয়েছে দুই মিনিটের মতো সময় আমি পূজামণ্ডপে ছিলাম। সেটি নিয়ে সবাই বলেছে। তারা ধারণা করছেন, আমি পূজার উদ্বোধন করেছি। যেটি আমি কখনই করিনি। একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে করব না। তারপরও হয়তো সেখানে যাওয়াটাই আমার ঠিক হয়নি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না হয় সেটি আমি খেয়াল রাখব।’

মন্তব্যসমূহ