হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ




 মার্কিন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ সমর্থন করে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন হাজারো ট্রাম্প সমর্থক। গতকাল শনিবার তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে যাত্রা করেন।


গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। নির্বাচনে হারের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন একাধিকবার। ফলে নির্বাচন শেষ হলেও থামছে না নির্বাচনী উত্তাপ। আইনি লড়াইয়ে হারার পরও ভোট জালিয়াতির অভিযোগে এবার বিশাল সমাবেশ করেছে ট্রাম্প সমর্থকরা।


মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উইমেন ফর আমেরিকা ফার্স্ট নামে একটি সংগঠন। এতে অংশ নেয় ওথ কিপারস মিলিশিয়া, প্রাউড বয়েজসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ। হোয়াইট হাউসের কাছেই ফ্রিডম প্লাজা থেকে শুরু করে সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত মিছিল করে তারা।


গত শুক্রবার জর্জিয়াতে জয়লাভ করেন জো বাইডেন। ১৯৯২ সালের পর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে এ অঙ্গরাজ্যটিতে বাইডেন জয়লাভ করেন। বিবিসির মতে, এখন পর্যন্ত জো বাইডেনের প্রাপ্ত ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট সংখ্যা ৩০৬। যেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের দরকার পড়ে।


কিন্তু নির্বাচনে হারের পর ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। এ ব্যাপারে তিনি আইনি লড়াইও চালিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।


এদিকে ট্রাম্পের সমর্থনে আয়োজিত ওই সমাবেশকে বিক্ষোভকারীরা নানাভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিক্ষোভকারীরা এটিকে মিলিয়ন মাগা মার্চ, মি. ট্রাম্প মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন, মার্চ ফর ট্রাম্প এবং স্টপ দ্য স্টিল ডিসি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


গতকাল শনিবার সকালের দিকে সমর্থকদের ভীড়ের পাশ দিয়েই গাড়িবহর নিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় ভক্তরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। ভক্তরা যখন বিক্ষোভে, ট্রাম্প তখন যাচ্ছিলেন ভার্জিনিয়ায় গলফ ক্লাবে।


হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা ড্যান স্কাভিনো বিক্ষোভকারীদের একটি ভিডিও টুইট করেছেন। তবে ট্রাম্প বিরোধী বামপন্থীরাও বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু ট্রাম্প বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে মুখোমুখি কোনো উত্তেজনার পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।


মন্তব্যসমূহ