হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মিসরে জুমার খুতবায় ম্যাক্রোর সমালোচনা করায় ইমাম গ্রেফতার

 




ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের সমালোচনা করার কারণে মিসরের একটি মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে। দেশটির ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ ‘আহমাদ হাম্মাম’ নামের ওই ইমামকে আটক করা হয়েছে।


মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় আলেক্সান্দ্রিয়া প্রদেশের একটি মসজিদের ইমামতি করেন আহমাদ হাম্মাম। তিনি শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন। এ খবর পেয়ে ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইমাম হাম্মামকে আটক করে বিচার বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে মিসরের পুলিশ।


মিসরের গণমাধ্যম জানিয়েছে, হাম্মামের বিরুদ্ধে জনগণকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।


মিসরের ওয়াকফ মন্ত্রী মোহাম্মাদ মোখতার জুমা এ সম্পর্কে বলেছেন, তিনি আহমাদ হাম্মামকে বরখাস্ত করার এবং হাম্মাম যাতে আর কোনো মসজিদের ইমামতি করতে না পারেন সে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


মিসরে এমন সময় মসজিদের একজন ইমামকে আটক করা হলো যখন সারাবিশ্বের আলেম সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা তাদের দ্বীনি দায়িত্ব অনুভূতি থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছেন।


ফ্রান্সে সম্প্রতি একজন স্কুল শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বাক-স্বাধীনতা বোঝানোর নামে মহানবী (সা.)-এর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন করে। পরে ওই শিক্ষককে আবদুল্লাখ আনজোরভ নামে এক ব্যক্তি হত্যা করে। ওই স্কুল শিক্ষক নিহত হওয়ার পরপরই পুলিশ আনজোরভকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওই কার্টুন প্রকাশকে বাক-স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ফ্রান্সে এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে।


সূত্র : পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ