হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মসজিদে চুমু খেয়ে ঢুকলেন আজেরি প্রেসিডেন্ট, রাখলেন কুরআন

 




আর্মেনিয়ার কাছ থেকে সদ্য মুক্ত হওয়া আজারবাইজানের আগদাম প্রদেশ সফরে গেলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।


সোমবার তার স্ত্রী মেহরিবান আলিয়েভ তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে একটি ভিডিও আপলোড করেন। 


ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, আগদামের একটি মসজিদে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ এবং তার স্ত্রী ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহরিবান আলিয়েভকে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করছেন। এসময় তিনি ও তার স্ত্রী মসজিদের ফটকে চুমু খেয়ে তাতে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি ও তার স্ত্রী কুরআনে চুমু খেয়ে সেটি মসজিদে রাখেন।


এসময় কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন মেহরিবান আলিয়েভ। প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ জানান, এই ফুটেজ আগদামের যাওয়ার রাস্তায় পড়ে। আজেরি সেনাবাহিনী কোন বুলেট ব্যবহার না করেই আগদাম বিজয় করেছে।


এসময় আলিয়েভ আর্মেনিয়দের হাতে ধ্বংস হওয়া এলাকা দেখিয়ে বলেন, সমগ্র বিশ্বকে এসব দেখা উচিত। এখানে ভাল কোন স্থাপনা নেই। সব আর্মেনিয়রা ধ্বংস করে ফেলেছে।


সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহু আগে থেকেই। ১৯৯১ সোলে আর্মেনিয়া যখন নাগার্নো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।


পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারো দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। পরে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।


৪৪ এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি এলকা দখলমুক্ত করে।


চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।


সূত্র : ইয়েনি শাফাক

মন্তব্যসমূহ