হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আর্মেনিয়ার তিন মন্ত্রী বরখাস্ত

 




আর্মেনিয়া সরকার মন্ত্রী পরিষদের তিন সদস্যকে বরখাস্ত করেছে। তার মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, শ্রম ও সামাজ কল্যাণ মন্ত্রী এবং জরুরি অবস্থার মন্ত্রী। দেশটিতে ক্রমাগত বিক্ষোভ ও গণ-আন্দোলনের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।


শুক্রবার (২০ নভেম্বর) জরুরিভিত্তিতে এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে তাদের বরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি আর্মেন সারকিসান।


মূলত আজারবাইনের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় হঠাৎ শান্তি চুক্তি করে নির্ধারিত এলাকা ছেড়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে আর্মেনিয়ায় যে গণ-আন্দোলন চলছে তার জের ধরেই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


ইতিমধ্যে নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভাগারসাক হারুতায়্যুনকে।


আজারবাইজানের নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল ১৯৯১ সাল থেকে আর্মেনিয়ার দখলে ছিল। কিন্তু ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সেটি হাতছাড়া হলো তাদের। ৪৪ দিন যুদ্ধের পর গত ১০ নভেম্বর নতুন চুক্তি সাক্ষর করে এই দুটি দেশ। যা আর্মেনিয়ার জনগণ পরাজয়ের চুক্তি বলে মনে করছে। 


আর এই চুক্তির পর থেকেই আর্মেনিয়ার জনগণ দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও গণ-আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ