হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এলাকা ছাড়তে আর্মেনীয়দের অতিরিক্ত সময় দিল আজারবাইজান

 




দখলমুক্ত এলাকা ছাড়তে আর্মেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের অতিরিক্ত সময় দিয়েছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। 


তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব আর্মেনীয় বাসিন্দা আজারবাইজানের দখলমুক্ত এলাকা ছেড়ে যেতে পারেননি, তারা সাদা পতাকা উত্তোলনকারী সেনাদের কাছে আরও অতিরিক্ত সময় চেয়েছেন। 


৪৪ দিন টানা সংঘর্ষের পর নাগোরনো-কারাবাখ চুক্তির পর আর্মেনিয়ার বেসামরিক নাগরিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আজারবাইজানি অঞ্চল ছেড়ে যাচ্ছেন। 


এর মধ্যেই কিছু আর্মেনীয় ওই অঞ্চলে তাদের ছেড়ে যাওয়া বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ও দালান-কোঠাসহ গাছগাছালি ধ্বংস করে ফেলেছে। এসব অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব আর্মেনীয়রা যেতে পারেননি, তাদের অতিরিক্ত সময় দিয়েছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। 


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, কিছু আর্মেনীয় বাসিন্দা সাদা পতাকা উত্তোলনকারী আজারবাইজানি সেনাদের কাছে আরও অতিরিক্ত সময় চাইছেন। 


আজারবাইজানি সেনাবাহিনী তাদের বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছে, যাতে আর্মেনীয়রা তাদের জিনিসপত্র ট্রাকে তুলতে পারেন। 


চুক্তি অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর লাচিন এলাকা আজারবাইজানের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। 


সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহু আগে থেকেই। ১৯৯১ সোলে আর্মেনিয়া যখন নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। 


পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারো দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। পরে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।


৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলকা দখলমুক্ত করে।


চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ চুক্তিটিকে তুরস্ক সমর্থন জানিয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ