জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

হোয়াইট হাউসের বাইরে বাইডেন সমর্থকদের উল্লাস

 




মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক ভবন হোয়াইট হাউসের বাইরে সমাবেশ করেছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের শত শত সমর্থক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে নাচ-গান আর উল্লাসে মেতে ওঠেন সমর্থকরা। তাঁদের আশাবাদ, এবার জয়ের মালা বাইডেনই পরবেন। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।


হোয়াইট হাউসের বাইরে যে এলাকায় বাইডেন সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন, সেটিকে সম্প্রতি ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্লাজা’ নামকরণ করা হয়।


ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী মালিক উইলিয়ামস বলেন, ‘বর্তমান প্রেসিডেন্টের এখান থেকে (হোয়াইট হাউস) বেরিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে বলে আশা করছি। আর এজন্য আগাম উদযাপন করতেই এখানে এসেছি।’


মালিক উইলিয়ামস আরো বলেন, ‘আমি মোটেও উদ্বিগ্ন নই। আমি মনে করি, তিনি (ট্রাম্প) হারবেন এবং এটি তাঁর একটি ঐতিহাসিক পরাজয় হবে।’


এ ছাড়াও বাইডেন সমর্থকদের অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে হোয়াইট হাউসের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে রুবি এস্তয় (৪০)  ও তাঁর বন্ধু লেনজা (৩৪) এসেছেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে। রুবি এস্তয় বলেন, ‘আমরা শক্তি সঞ্চার করতে এখানে এসেছি।’


পেনসিলভানিয়া থেকে আসা ট্রেসি ও ম্যারিল্যান্ডের লরি রিকস জানিয়েছেন, তাঁরা ছুটি নিয়ে এখানে এসেছে। রিকস বলেন, ‘আমাদের দেশে এতদিন যা হয়ে আসছে, তা দেখে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’

মন্তব্যসমূহ