জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

এক নজরে ম্যারাডোনা

 




চলে গেলেন ফুটবল জগতের কিংবদন্তি দিয়াগো আরমান্দো ম্যারোডোনা। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম নেয়া এই বিরল ফুটবল প্রতিভা কোচ ও ম্যানেজার হিসেবেও পরবর্তীতে সরব ছিলেন। ফুটবলের আরেক কিংবদন্তি পেলের সাথে ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়ও ছিলেন ম্যারাডোনা।


১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৬ বছর বয়সে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার অভিষেক হয়। ১৯৮৬-তে তিনি অধিনায়ক হিসেবে দলকে এনে দেন বিশ্বকাপ শিরোপা। সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলে জয়ের পিছনে অবদান রাখে তার বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’। আলোচিত এই গোলটি তিনি করেন তার হাতের মাধ্যমে যা রেফারির চোখ এড়িয়ে যাবার কারণে হ্যান্ডবল হয়নি। একই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ৫ জনকে কাটিয়ে ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলটিও করেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ম্যারাডোনা।


পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে।


১৯৯১ সালে ইতালিতে ডোপ টেস্টে মাদকসেবী হিসেবে অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার কারণে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। এরপর ১৯৯৪ বিশ্বকাপে আবারও ডোপ টেস্টে কোকেইন সেবন প্রমাণিত হওয়ায় বাদ পড়েন তিনি।

মন্তব্যসমূহ