শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

এক নজরে ম্যারাডোনা

 




চলে গেলেন ফুটবল জগতের কিংবদন্তি দিয়াগো আরমান্দো ম্যারোডোনা। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্ম নেয়া এই বিরল ফুটবল প্রতিভা কোচ ও ম্যানেজার হিসেবেও পরবর্তীতে সরব ছিলেন। ফুটবলের আরেক কিংবদন্তি পেলের সাথে ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়ও ছিলেন ম্যারাডোনা।


১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৬ বছর বয়সে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার অভিষেক হয়। ১৯৮৬-তে তিনি অধিনায়ক হিসেবে দলকে এনে দেন বিশ্বকাপ শিরোপা। সেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলে জয়ের পিছনে অবদান রাখে তার বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’। আলোচিত এই গোলটি তিনি করেন তার হাতের মাধ্যমে যা রেফারির চোখ এড়িয়ে যাবার কারণে হ্যান্ডবল হয়নি। একই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ৫ জনকে কাটিয়ে ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলটিও করেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ম্যারাডোনা।


পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে।


১৯৯১ সালে ইতালিতে ডোপ টেস্টে মাদকসেবী হিসেবে অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার কারণে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। এরপর ১৯৯৪ বিশ্বকাপে আবারও ডোপ টেস্টে কোকেইন সেবন প্রমাণিত হওয়ায় বাদ পড়েন তিনি।

মন্তব্যসমূহ