হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত আজারবাইজান-আর্মেনিয়া

 





বিরোধপূর্ণ নাগরনো-কারাবাখে টানা ১৪ দিন সশস্ত্র সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।


শুক্রবার, রাশিয়ার উদ্যোগে মস্কোয় বৈঠকে বসেন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের শীর্ষ কূটনীতিকরা। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, শনিবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। 


মূলত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আহ্বানে যুদ্ধ বন্ধে বৈঠকে বসে দেশ দুটি। এর আগে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ককেশাসের দক্ষিণাঞ্চলে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।


২৭ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে লড়াই শুরু হয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অঞ্চল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও এটি দখলে রেখেছে আর্মেনিয়ার মদদপুষ্ট গোষ্ঠী।


গত দু সপ্তাহের সংঘাতে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। 


যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া যৌথভাবে সংঘাত অবসানের আহ্বান জানালেও আজারবাইজান তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত মস্কোর প্রস্তাবে সাড়া দেয় আজারবাইজান।

মন্তব্যসমূহ