হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অবশেষে ইসরাইল-হামাসের পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে সমঝোতা




ফিলিস্তিনের গাজার গণতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠি হামাস এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সোমবার (৩১ আগস্ট) কাতারের মধ্যস্ততায় এই সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনোয়ার।


তিনি জানান, কাতারের দূত মোহাম্মদ আল এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছানো গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি।   

 

গত ৬ আগস্ট থেকে প্রায় প্রতিদিনই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, গাজা উপত্যকা থেকে নিয়মিত ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরক ভর্তি বেলুন পাঠানো এবং রকেট হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি এসব বেলুনের কারণে গত কয়েক দিনে সে দেশে চারশ’র বেশি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।


সমঝোতা অনুসারে  ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেলুন ও অন্যান্য হামলা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। বিনিময়ে ১৩ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার থেকে তেল সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটি পুনরায় সচল হবে। এছাড়া গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশি বেকারত্ব নিরসনে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। 


সীমান্তের এই উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে থাকে মিসরের একটি প্রতিনিধি দল। ওই আলোচনায় যুক্ত হন কাতারের দূত মোহাম্মদ আল এমাদি। তেল আবিবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।



২০১৮ সালের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথম বারের মতো ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। বেশ কয়েকবার এর মেয়াদ বাড়ানো হলেও পরে ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র হয়ে উঠলে তা এক সময়ে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর আগে ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে হামাস। 

মন্তব্যসমূহ