জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

উত্তেজনার মধ্যেই ‘চীনা’ ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটির ঋণ নিলো ভারত

 




সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই চীনা ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে মোদি সরকার। করোনা মহামারি মোকাবিলা করতেই বেইজিং ভিত্তিক এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এইইবি) থেকে এ ঋণ নিয়েছে ভারত সরকার। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।


বুধবার সংসদে এ কথা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।


খবরে বলা হয়, পরিকাঠামো খাতে উন্নয়নের জন্য চীনে অবস্থিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে মোট দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ৩ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় গত ৮ মে। সেই অর্থ করোনা মোকাবিলায় ও চিকিৎসাখাতে ব্যয় করা হয়েছে।


দ্বিতীয় ঋণ চুক্তিটি সই করা হয়েছে ১৯ জুন। সেই চুক্তি প্রায় ৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকার।


ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, যখন দ্বিতীয় ঋণের জন্য আবেদন করা হয়, ততদিনে লাদাখে চীনের আক্রমণে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছেন। এরপরেও চীনে অবস্থিত ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরাও এ নিয়ে সরব হয়েছেন।


মোদি সরকারের দাবি, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক মূলত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এশিয়া প্যাসিফিক এলাকায় বিভিন্ন দেশের আর্থিক ও সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে ঋণ দিয়ে থাকে। ভারত নিজেও এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।


এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সদর দফতর বেইজিংয়ে। আর ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবেই চীনের হাতে।

মন্তব্যসমূহ