হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গাজায় স্কুলে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

 



বৃহস্পতিবার পশ্চিম গাজার একটি স্কুলে অবস্থিত উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। উদ্বাস্তু ক্যাম্পটি জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা দ্বারা পরিচালিত।


ফিলিস্তিনের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়নি, তবে বিদ্যালয়ের ভবনের ক্ষতি করেছে।


আরো বলা হয়, যদিও বর্তমানে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাটি বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা স্থগিত রেখেছে। তবে এখনো এই ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি।


হামাস অবশ্য এই পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলিদের গাজায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও অবরোধকে দায়ী করেছে।


হামাসের মুখপাত্র ফওজি বারহৌম এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের এই আক্রমণাত্মক নীতি গাজায় আমাদের জন-জীবনকে আরো সংকটময় করে তুলেছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিকভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।


বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান গাজার হামাসের সামরিক এলাকার উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে অভিযান চালায়। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


এদিকে ইসরাইলি সরকার তাদের অবরোধ আরো জোরদার করেছে। গাজায় জ্বালানী সরবরাহ কমিয়ে আনাসহ গাজার স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার জায়গাও সীমিত করেছে। সূত্র : ইয়েনি সাফাক

মন্তব্যসমূহ