জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম উপস্থাপক হাসান মিনহাজের টকশো বন্ধ

 



যুক্তরাষ্ট্রে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তৈরি করা তুমুল জনপ্রিয় নেটফ্লিক্সের টকশো 'প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট' বন্ধ করে দেয়ায় অনুষ্ঠানটির দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।


অনুষ্ঠানটির হোস্ট হাসান দক্ষিণ এশীয় মুসলিম তরুণ মিনহাজ গত মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন– সিরিজটি আর চালানো হবে না। খবর বিবিসির।


প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট ছিল যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মুসলমানের উপস্থাপনায় প্রথম সাপ্তাহিক টকশো। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশীয় অধিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।


মনে করা হচ্ছে, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে এ অনুষ্ঠান ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে- এমন ধারণা থেকেই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


নেটফ্লিক্স যেন অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, এ জন্য এক আবেদনে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত হাজারেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।


২০১৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন যখন হাসান মিনহাজকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, সেই সময় প্রখ্যাত কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়াহ প্যাট্রিয়ট অ্যাক্টে মুসলিম উপস্থাপক হাসান মিনহাজের 'চাবুকের মতো তীক্ষ্ণ ভাষ্য– ক্যারিশমা ও অকপটতার জন্য প্রশংসা করেছিলেন।


সেই সময় নোয়াহ লিখেছিলেন– ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম ও অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পর থেকে হাসানের কণ্ঠস্বর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।


২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ৪০টি পর্ব হয়েছে হাসান মিনহাজের সিরিজের। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক দিনের খবরগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতেন।


হাসান মিনহাজের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, অনুষ্ঠানটি 'আন্তরিকতার সঙ্গে গভীরভাবে আধুনিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পটভূমি বিশ্লেষণ করে।


একসময় 'দ্য ডেইলি শো'র সঙ্গে কাজ করা হাসান মিনহাজের অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক স্থূলতা, ভারতের নির্বাচন, চীনের সেন্সরশিপ, গাঁজা বৈধতা দেয়া, সুদানে বিক্ষোভ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সমকালীন হিপহপসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হতো।


সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে নেটফ্লিক্সে এ ধরনের অনুষ্ঠান খুব বেশি নেই।


রিভিউ ওয়েবসাইট ইন্ডিওয়াইয়ারের স্টিভ গ্রিন লিখেছেন– প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট যে রকম তাৎক্ষণিকভাবে সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করত, নেটফ্লিক্সে সেই চাহিদা পূরণ করার মতো আর কোনো অনুষ্ঠান নেই।


অনুষ্ঠানটি বাতিল হওয়ার পর টুইটারে হতাশা প্রকাশ করে কমেন্ট করেছেন দর্শকরা। গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো যেভাবে তুলে ধরা হতো ওই অনুষ্ঠানে, সেই বিষয়টি দর্শকদের আকর্ষণ করেছিল।


সিনেমা পরিচালক কুনাল কোহলি লিখেছেন– নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের সময় আপনি না থাকলে কীভাবে হবে? এই শো এবং সেখানে আপনার করা মন্তব্য ভালো লেগেছে।


সংস্কৃতি সমালোচক সোরায়া নাদিয়া ম্যাকডোনাল্ড লিখেছেন– খুবই প্রয়োজনীয় এবং বিশেষ একটি কাজ করছিল হাসান। দক্ষিণ এশিয়ানদের ইস্যুগুলোকে কেন্দ্র করে কর্তৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ