হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বৈরুতে বিস্ফোরণে গৃহহারা হয়েছেন ৩ লাখ মানুষ: গভর্নর



বৈরুতের বন্দরে ভয়াল বিস্ফোরণে বাড়িহারা হয়েছেন ৩ লাখ মানুষ। শহরটির গভর্নর মারওয়ান আব্বুদ বুধবার এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, গৃহহারাদের খাদ্য, পানি ও আশ্রয় প্রদানে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবারের জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের গুদামঘরে মজুদ থাকা ২ হাজার ৭০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রাইট বিস্ফোরিত হয়ে মঙ্গলবার এ ধ্বংসযজ্ঞ সম্পন্ন হয়। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব মঙ্গলবার জানান, এ বিস্ফোরণের জন্য জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। কেউ পার পাবে না।
এ নিয়ে একটি তদন্ত চালুর ঘোষণাও দেন তিনি।
এদিকে, বুধবার মন্ত্রিপরিষপদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তিনি আরো বলেছেন, বৈরুতে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করা উচিৎ।

মন্তব্যসমূহ