হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আরেকটি চার্চ মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ এরদোয়ানের

 



আয়া সুফিয়ার পর এবার আরেকটি প্রাচিন চার্চকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুক্রবার (২১ আগস্ট) তিনি দেশটির জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ দেন।


অন্তত ১ হাজার বছর পুরনো এই চার্চটিকে ৫শ’ বছর আগে অটমান সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছিল। পরে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। এরদোয়ানের এই নির্দেশের ফলে এটি আবার মসজিদ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।


এর আগে মাত্র একমাস আগে ইস্তানবুলের ইউনেসকো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য আয়া সুফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। বিভিন্ন দেশ এ নিয়ে সমালোচনা করলেও দেশটির জনগণ সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধন্তকে স্বাগত জানায়।


নতুন করে জাদুঘর থেকে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়া চার্চটি ইউরোপ-ঘেঁষা ইস্তাম্বুলের ‘গোল্ডেন হর্ন’ এলাকার প্রাচীন নিদর্শন। ইস্তাম্বুলে খোরা এলাকায় বাইজেন্টাইনরা এই চার্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। অটোমান তুর্করা ১৪৫৩ সালে কন্সটেন্টিনোপাল বিজয়ের প্রায় ৫০ বছর পর কারিয়ে চার্চকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছিল।



কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়। পরবর্তীতে এটার সংস্কার করে ১৯৫৮ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে গত বছরের নভেম্বরে এই জাদুঘরকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করতে আদেশ দেন তুরস্কের একটি শীর্ষ প্রশাসনিক আদালত। প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশের ফলে ওই আদেশ বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা থাকলো না।

মন্তব্যসমূহ