হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই: লেবানন

 



লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন ও বিচার মন্ত্রী মেরি ক্লড নাজেম বলেছেন, সম্প্রতি বৈরুত বন্দরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, লেবাননের বিচার বিভাগই তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট।


মন্ত্রী মেরি ক্লড নাজেম বলেন, গত ৪ আগস্টের বিস্ফোরণ লেবাননের বিচার বিভাগের সক্ষমতার প্রমাণের জন্য একটি সুযোগ এবং এতে তারা জনগণের সমর্থন লাভ করবে। আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।


নাজেম বলেন, জনগণের চাপ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের কারণে সম্ভবত তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে যাবে।


আন্তর্জাতিক তদন্তের বিষয়টি নাকচ করে লেবাননের এ নারী রাজনীতিক বলেন, “আমি সবসময় লেবাননের বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে চাই এবং আমি এমন কোনা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই না যে, নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করতে পারি কিন্তু আমি চাই আমাদের দেশের বিচার বিভাগ উন্নত হোক।”


গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১২৫ জন নিহত ও পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্রান্স আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। লেবানন এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল এবং লেবাননে বহু ফরাসি নাগরিকের বসবাস রয়েছে।


পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ