হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৯ শিশু নিহত

 



ইয়েমেনের উত্তরোঞ্চলে বিমান হামলায় অন্তত ৯ শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি মাসে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে শিশুদের লক্ষ্য করে চালানো দ্বিতীয় ভয়াবহ হামলা এটি।


শুক্রবার (০৬ আগস্ট) জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক মানবাধিকার সমন্বয়ক লিসে গ্র্যান্ডে এক বিবৃতে বলেন, হতাহতদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। তারা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলো। বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি। হামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য।


উত্তরাঞ্চলের জাওফ প্রদেশ হাউথি বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করে। বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের  সমর্থপুষ্ট ইয়েমেন সরকার উত্তরাঞ্চীয় এলাকায় অন্তত ৬ দফা বিমান হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে তারা জানায়, অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।


হাউথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গণমাধ্যম এবং স্বেচ্ছাসেবীদের প্রবেশাধিকার সীমিত। তাই ওইসব এলাকায় কী ঘটে তার বিস্তারিত জানা খুবই কঠিন।


সৌদি সামরিক জোটের মুখপাত্র, তুর্কি আল মালিকি সৌদি গণমাধ্যম আশরাক আল আওসাতকে বলেন, বেসামরকি নাগরিক হতাহতের অভিযোগের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা।


গেলো কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনে হাউথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি জোট। তাদের অব্যাহত বিমান হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বিয়ের অনুষ্ঠান। জোটের এমন নিষ্ঠুরতা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাদের মিত্রদের ভাবমূর্তিকে চরম সংকটে মধ্যে ফেলেছে।


১৪ জুলাই জাতিসংঘ জানায়, হাজ্জাহ প্রদেশে বিমান হামলায় ৭ শিশু নিহত হয়েছে। যাদের কয়েকজনের বয়স দু’বছরেরও কম। হাউথি বিদ্রোহী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের বরাতে গণমাধ্যম জানায়, নতুন জন্ম নেয়া শিশুর নাম রাখার অনুষ্ঠানে পরদিনই হামলা চালায় সৌদি জোট। নিহত হয় ৬ শিশুসহ ১০ জন।


২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হাউথিরা রাজধানী সানা দখল করে দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার প্রধান আবদ রাব্বু মানসুর হাদিকে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে। পরের বছরই সৌদি আরব সামরিক জোট গঠন করে। বলা হয় ইয়েমেনে ইরানের প্রভাব প্রতিহিত করাই তাদের লক্ষ্য।


ইয়েমেন সংঘাতে ১  লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩০ লাখের বেশি। দুই তৃতীয়াংশ মানুষ নির্ভর করে খাদ্য সহায়তার উপর। ইয়েমেনের এ পরিস্থিতিকে পৃথিবীর ভয়াবহতম মানবিক সংকট আখ্যা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ