হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

চীনকে ঠেকাতে ১০৫টি মার্কিন এফ-৩৫ জেট কিনছে জাপান



দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের একচেটিয়া আগ্রাসন ঠেকাতে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপান।


এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দুই হাজার ৩১১ কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে ১০৫টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।

বৃহস্পতিবার জাপানের কাছে এসব বিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শনিবার সিএনএন এ খবর দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাপান আরও ৬৩টি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান ও ৪২টি এফ-৩৫বি বিমান কিনবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এসব যুদ্ধবিমান কেনার ফলে মার্কিন যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী লকহিড মার্টিনের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে জাপান।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি সম্ভাব্য এ অস্ত্রবিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে। তবে উভয় দেশ ও লকহিড মার্টিন কোম্পানির দরকষাকষির ভিত্তিতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে।

জাপান যদি এসব সফলভাবে কিনতে পারে তাহলে দেশটির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থাকবে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি এফ-৩৫ বিমান থাকবে দেশটি। জাপানের পর যুক্তরাজ্যের এসব বিমান সবচেয়ে বেশি হতে পারে। যুক্তরাজ্য ১৩৮টি এফ-৩৫ কেনার পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জাপান এফ-৩৫ কেনার চুক্তি করেছিল ২০১৮ সালে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সুরক্ষা সহযোগিতা সংস্থা বিক্রয় অনুমোদনের ঘোষণা দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এ অনুমোদন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি প্রধান মিত্রের সুরক্ষার উন্নতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি লক্ষ্য এবং জাতীয় সুরক্ষা লক্ষ্যকে সমর্থন করবে।

জাপানকে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর স্ব-প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পক্ষে অতীব জরুরি।

মন্তব্যসমূহ