হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ইরাকে মার্কিন সামরিক বহর উড়িয়ে দেয়া হয়েছে (ভিডিও)



ইরাকে সামরিক সরঞ্জামাদি বহনকারী মার্কিন সেনাদের একটি বহর উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণে সামোয়া এবং দিওয়ানিয়া এলাকার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, সামরিক বহরের অন্তত তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল (শনিবার) স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। কোন কোন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে- রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়। সামরিক বহরটি দিওয়ানিয়ার আল-ক্বাদিসিয়াহ ও মুসান্না প্রদেশের সেভিসলিন এলাকার মধ্যে যাতায়াত করছিল।

এরইমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে হামলার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে- হামলার পর সামরিক বহরে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। নবগঠিত ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠী সারাইয়া সাওরাত আল-ইশরিন আল-সানিয়া হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।

ইরাকের ভূখণ্ডে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহিদি আল-মুহান্দিসকে হত্যার পর ইরাকের জনগণের ভেতরে প্রচণ্ড রকমের মার্কিন বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। এ দু'জনকে হত্যার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবিতে জাতীয় সংসদের একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়। সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে বর্তমানে ইরাক এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে যে, যদি মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমেরিকার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই শুরু হবে।
   

পার্সটুডে

মন্তব্যসমূহ