বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
তবে গত কয়েকদিনে এই চিত্র বদলে দিয়েছে ইতালি। গত কয়েক মাসে চীন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে ঠিক একই রকম পরিস্থিতি এখন ইতালিতে। বরং চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় চীনসহ অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৬। দেশটিতে গত একদিনেই মারা গেছে আরও ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটা।
ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনের। এখন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ১২৯ জন। ইউরোপের দেশটিতে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৬৫৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
গত বৃহস্পতিবারই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যায় ইতালি। সেদিন দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪২৭ জনের। আর গত বুধবার প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৭৫ জন কোভিড-১৯ রোগী। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেটাই ছিল যেকোনও দেশের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। শুক্রবার নিজেদের সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা।
অপরদিকে, চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৮ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৫৫ জন। এরপরেই রয়েছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৯৩ জন।
অপরদিকে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছে ৬৮ জন। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৪৪ এবং মারা গেছে ১ হাজার ৪৩৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৪৩ এবং মৃত্যু ২৬৩।
ফ্রান্স এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৬১২ এবং মারা গেছে ৪৫০ জন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৮৩ এবং মৃত্যু ১৭৭। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৫০১ এবং মৃত্যু ৩, সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪৪। অপরদিকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২০ জন এবং মারা গেছে একজন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে তিনজন।
মন্তব্যসমূহ