গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

কুয়েতে আজান বদলে গেছে : ‘বাড়িতেই নামাজ পড়ুন’!



করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুয়েতে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) থেকে এ ছুটি কার্যকর হয়েছে। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, মসজিদে শুধু আজান হবে তবে মুসল্লিরা নামাজ পড়বেন যার যার বাসায়।

এ ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়, আজানে ‘হাইয়া আ'লাস সালাহ’ (নামাজে জন্য আসো) এর পরিবর্তে মুয়াজ্জিন বলছেন ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’। অর্থাৎ ‘নামাজ বাড়িতে (পড়ুন)।’

মুয়াজ্জিন আজানে মধ্যে ‘আস্সলাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলার পর যথারীতি ‘আল্লাহ আকবর, আল্লাহ আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে আজান শেষ করেন।

তুরস্কের আনাদুলো এজেন্সির খবরে জানা যায়, নামাজ পড়তে মসজিদগুলোতে যাতে কেউ না যান সেজন্য আজানের মধ্যে অপরিচিত এ শব্দটি প্রচার করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মসজিদে আজানের শুরু বা শেষে বিষয়টি বলে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেক মসজিদে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’র পরিবর্তে ‘আস্সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ কথাটি বলা হচ্ছে।

কুয়েতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

মন্তব্যসমূহ