হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

অস্ট্রেলিয়ায় এবার শতাধিক কোয়ালা হত্যা


হাজারের বেশি উট হত্যার পর এবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালা হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুলডোজার দিয়ে সেখানে প্রাণীগুলোকে নিধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালার মরদেহ পাওয়া গেছে। ব্লুগাম গাছের একটি প্রকল্পে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির পরিবেশবাদী একটি সংগঠন।

বার্তা সংস্থা ডিপিএকে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ অস্ট্রেলিয়ার গবেষক অ্যান্থনি অ্যামিস বলেন, ‘তারা (স্থানীয়রা) বুলডোজারে পিষ্ট কোয়ালাগুলোর সন্ধান পায়। আমাদের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সেখানে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড।’

দক্ষিণ-পশ্চিম ভিক্টোরিয়ার পোর্টল্যান্ডের কাছাকাছি জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান অ্যান্থনি অ্যামিস।
স্থানীয় এক নারী গত শুক্রবার সেখানকার একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মা (কোয়ালা) আর ছানাদের হত্যা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার লজ্জিত হওয়া উচিত।

মিস জানান, নভেম্বর পর্যন্ত সেখানকার ব্লুগাম গাছের এই প্রকল্প মিডওয়ে নামের একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ছিল। এরপর স্থানীয় এক ভূমি মালিকের কাছে সেটি তারা হস্তান্তর করে। সেখানে অন্য গাছ নিধন করতে গিয়ে কোয়ালাদের বুলডোজারে পিষ্ট করা হয়। স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি আহত কোয়ালাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন বলেও জানা গেছে।

বিষয়টি তদন্ত করছে ভিক্টোরিয়ার পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিকল্পিতভাবে কোয়ালাদের হত্যা করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।

এদিকে মিডওয়ে দাবি করেছে, জমি হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত কোয়ালাদের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। প্রাণীগুলোর বসবাসের মত যথেষ্ট গাছও তারা রেখেছিল।
ভিক্টোরিয়াতে নব্বইর দশক থেকে এক লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্লুগাম গাছের চাষ হয়েছে, যা কোয়ালাদের থাকারও অন্যতম জায়গা।

মন্তব্যসমূহ