হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গণকবরে ৬০৩২ কঙ্কালের পাশে কয়েক হাজার গুলি



আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির কাউরিসিতে ছয়টি গণকবর থেকে ছয় হাজার ৩২ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে গণকবরের সন্ধানে নামার পর গণকবর থেকে এটিই বেশিসংখ্যক কঙ্কালের সন্ধান। এসব আলামত দেশটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রমাণ দেয়। খবর আনাদোলু ও আলজাজিরার।

দেশটির ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের চেয়ারম্যান ক্লেভার নাদাইকারের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, কবরগুলো থেকে ভুক্তভোগীদের ব্যবহার করা নানা জিনিসও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, ১৯৭২ সালের গণহত্যার সময় এভাবে মানুষ মেরে পুঁতে রাখা হয়।

বুরুন্ডির ইতিহাস দাঁড়িয়ে আছে এমন অনেক কবরের ওপর। দেশটির সাধারণ মানুষ টুটসি ও হুটু সম্প্রদায়ে বিভক্ত। দেশটির নাগরিকরা ঔপনিবেশিক শাসন, গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যার শিকার হয়েছেন।

২০০৫ সালে বুরুন্ডিতে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এর আগে দেশটির তিন লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারান।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটির সরকার গণকবরের সন্ধান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত চার হাজারটি কবরের খোঁজ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কবরে দেড় লাখের মতো মানুষকে রাখা হয়েছে!

মন্তব্যসমূহ