জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

গণকবরে ৬০৩২ কঙ্কালের পাশে কয়েক হাজার গুলি



আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির কাউরিসিতে ছয়টি গণকবর থেকে ছয় হাজার ৩২ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে গণকবরের সন্ধানে নামার পর গণকবর থেকে এটিই বেশিসংখ্যক কঙ্কালের সন্ধান। এসব আলামত দেশটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সংঘাতের প্রমাণ দেয়। খবর আনাদোলু ও আলজাজিরার।

দেশটির ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের চেয়ারম্যান ক্লেভার নাদাইকারের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, কবরগুলো থেকে ভুক্তভোগীদের ব্যবহার করা নানা জিনিসও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, ১৯৭২ সালের গণহত্যার সময় এভাবে মানুষ মেরে পুঁতে রাখা হয়।

বুরুন্ডির ইতিহাস দাঁড়িয়ে আছে এমন অনেক কবরের ওপর। দেশটির সাধারণ মানুষ টুটসি ও হুটু সম্প্রদায়ে বিভক্ত। দেশটির নাগরিকরা ঔপনিবেশিক শাসন, গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যার শিকার হয়েছেন।

২০০৫ সালে বুরুন্ডিতে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এর আগে দেশটির তিন লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারান।

প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটির সরকার গণকবরের সন্ধান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত চার হাজারটি কবরের খোঁজ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কবরে দেড় লাখের মতো মানুষকে রাখা হয়েছে!

মন্তব্যসমূহ