জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৩



প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু বৃহস্পতিবারে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৮৭ জন। খবর রয়টার্সের

এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩২৪ জন। এর মধ্যে উহানেই আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩৫১ জন।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহানে বিভিন্ন জিমনেসিয়াম, প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং ক্রীড়া কেন্দ্রগুলোকে অস্থায়ী হাসপাতাল বানিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হংকংয়ের সঙ্গে বিমান ফ্লাইট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীনসহ প্রায় ২৫টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং প্রাণহানি বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশগুলো ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়।

চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে কোনো কোনো দেশ চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাত্র ৩৫ দিনেই চীনের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রয়েছে এমন দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকিতে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই ঝুঁকি অনেকের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে চীন থেকে। আবার ১০০ কোটি ডলারের মতো রপ্তানিও হয়ে থাকে দেশটিতে। প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ব্যবসা রয়েছে চীনের সঙ্গে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ও বেসরকারি খাতে শত শত চীনা নাগরিক কাজ করছেন। যাদের একটি অংশ ছুটি কাটাতে দেশে গিয়ে আর ফিরতে পারছেন না। ফলে এসব প্রকল্প এবং শিল্পকারখানা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ