হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রধান কারিগর নিহত!



ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রধান কারিগর মার্কিন গোয়েন্দা মাইকেল ডি. অ্যান্ড্রু নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের গজনিতে তালেবানরা মার্কিন বিমান বিধ্বস্ত করলে তিনি মারা যান।


রুশ গোয়েন্দাদের সূত্রের বরাতে ইরান ফ্রন্ট পেজ (আইএফপি নিউজ) নামক একটি গণমাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করেছে।   

আইএফপি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পেছনে ছিলেন মাইকেল ডি. অ্যান্ড্রু।

আইএফপি নিউজ আরও জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে সিআইএ-র চেনা মুখ ছিলেন মাইকেল। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার আগে ইরাকে অন্তত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে তার নির্দেশে হত্যা করা হয় বলে জানায় তারা। এছাড়া ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মিশনেও তার ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর।  

উল্লেখ্য সোমবার (২৭ জানুয়ারি)  ৮৩ জন যাত্রী নিয়ে আফগানিস্তানের গজনিতে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কাবুলের দিকে যাচ্ছিল। দেহ ইয়াক অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই অঞ্চল তালেবান প্রভাবিত। 

আফগানিস্তানের এক প্রাদেশিক মুখপাত্র জানান, প্রযুক্তিগত কারণে বিমানটিতে আগুন লাগে। এতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটির মালিকানা আরিয়ানা নামক একটি সরকারি বিমান পরিবহন কম্পানির। তবে বিমনাটি তাদের নয় বলে দাবি করছে সংস্থাটি।

এদিকে আরিয়ানা আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া তাদের সকল বিমান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেছে এবং তাদের কোনো বিমান বিধ্বস্ত হয়নি।

মন্তব্যসমূহ