হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

খাশোগির লাশ কোথায় নিয়েছে বিন সালমানের দেহরক্ষী?

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিয়ে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। প্রথমে জামাল খাশোগি কনস্যুলেট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন বলে দাবি করলেও ঘটনার ১৭ দিন পর তাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দেয় সৌদি।

ওই স্বীকারোক্তির একদিন না যেতেই নতুন তথ্য দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছিল, জামাল খাশোগি চিৎকার শুরু করলে তার চিৎকার থামাতে গিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে দেয়া হলে দম বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

তার লাশের বিষয়ে জানানো হয়েছিল, নিহত হওয়ার পর তার লাশ ইস্তাম্বুলে একজন তুর্কি নাগরিককে দেয়া হয়। লাশটি নিরাপদ স্থানে ফেলে দেয়ার শর্তে ওই তুর্কি নাগরিকের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি করেছিল সৌদি সূত্র।

কিন্তু এমন তথ্য প্রকাশের মাত্র একদিন পর আবার নতুন তথ্য হাজির করেছে সৌদি সূত্র। ওই সূত্রটির বরাত দিয়ে মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এক দেহরক্ষী খাশোগির মরদেহ একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদিতে নিয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাহির আবদুল আজিজ মুতরিব নামের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে মরদেহ সরিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত। ধারণা করা হচ্ছে একটি বড় ব্যাগে করে তার মরদেহ কনসল্যুট থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাহির আবদুল আজিজ মুতরিব তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তার ব্যাগ পরীক্ষা করতে দেননি। এছাড়া ব্যক্তিগত ওই বিমানটির কোনও ফ্লাইট শিডিউল, বিমান এবং ফ্লাইটের কোনও তথ্যও তিনি বিমানবন্দরে দেননি। সূত্র বলছে, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী মুতরিবকে বিমান বন্দরে খুব দ্রুত চলাচল করতে দেখা যায়।

মন্তব্যসমূহ