হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

উখিয়া সীমান্তে থামছে না রোহিঙ্গাদের স্রোত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও দোসরদের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল থামছে না কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে। আজ বৃহস্পতিবার সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান নেয় চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। তারা আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তসংলগ্ন বেড়িবাঁধ ও মাছের ঘেরে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে দলবেঁধে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। তারা ছাড়াও নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে বহু রোহিঙ্গা।

স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকতে পারে ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা।

অন্যদিকে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিনই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ও সেনা চৌকিতে একযোগে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এরপর থেকে রাখাইনে শুদ্ধি অভিযানের নামে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বহু গ্রাম পুড়িয়ে দেয় সেনারা।

সেনা ও  দোসররা রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করে। এমন বাস্তবতায় প্রাণ বাঁচাতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা।

সম্প্রতি পালিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, মিয়ানমারে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ কিছুটা কমলেও ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে তাদের। এতে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা তরুণীদের মিয়ানমারের সেনা ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন বাস্তবতায় তাদের পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে হয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পার হয়ে দলে দলে এপারে আসতে শুরু করে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান জানান, প্রায় চার হাজারের মতো রোহিঙ্গা নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের এপারে জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ