হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভারতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে বিজেপি সাংসদ

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে এমন আশঙ্কায় যখন ভারত সরকার দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপির তরুণ নেতা বরুণ গান্ধী।

৩৭ বছর বয়সী উত্তরপ্রদেশের এই সংসদ সদস্য মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের ওপর একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। প্রতিবেদনে তিনি মিয়ানমার থেকে ভারতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

নবভারত টাইমসে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বরুণ গান্ধী বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিতাড়িত করা উচিত নয়, তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে।

তবে বরুণ গান্ধীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হংসরাজ অহির। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য জাতীয় স্বার্থের বিরোধী।’

এর আগেই অবশ্য ভারত সরকার দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে কিছু ‘রোহিঙ্গা জঙ্গি’ পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে। এ ব্যাপারে কোর্টকে গোপনে তথ্য দেবে সরকার।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতন, সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ভারতে পালিয়ে এসেছে। ভারত সরকার এই রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে।  অবশ্য দুই রোহিঙ্গা আদালতে পিটিশন করেছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

ভারত সরকার বলছে, গোয়েন্দাদের বিশ্বাস ‘রোহিঙ্গা জঙ্গি’ কমান্ডাররা ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে।

বরুণ গান্ধী তাঁর প্রতিবেদনে একাধিক আন্তর্জাতিক সূত্র ব্যবহার করেছেন। তিনি লিখেছেন, রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পলিসির কারণে ভুক্তভোগী।

ভারত বলছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ১৯৫১ সালের শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষর না করায় ভারত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়। কিন্তু বরুণ গান্ধী বলছেন, ভারত ‘সার্ক টেররিজম প্রটোকল’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যেখানে আর্টিকেল-১৭ তে বলা হয়েছে-কোনো দেশ এমন কাউকে তার দেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না, যাঁরা তাঁদের বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের শিকার হতে পারে।

মন্তব্যসমূহ