জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে আজ বিভিন্ন দেশের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে ভারত।
২০০৮ সাল থেকে জাতি সংঘের চালু করা রীতি অনুযায়ী প্রতি চারবছর অন্তর সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্য দেশগুলির কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
সেই হিসাবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জন্য এই প্রথম এবং দেশ হিসাবে তৃতীয়বার মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি ওই সব প্রশ্নের জবাব নিয়ে আজ হাজির হবেন মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে।
বিভিন্ন দেশ ভারতের কাছে যেসব প্রশ্ন জানতে চেয়েছে, তার মধ্যে মূলত রয়েছে সংখ্যালঘু আর দলিত শ্রেণীর মানুষদের সুরক্ষার জন্য ভারত কী কী করছে।
লিঙ্গ বৈষম্য, হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু, নারী অধিকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পার বলে বলীয়ান হয়ে যে সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সামনে এসেছে - থাকবে সেই সব বিষয়ও।
ভারত সরকারের জবাব ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতি সংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজও তাদের নিজস্ব রিপোর্ট পাঠায়।
ওইসব প্রতিবেদনের ওপরে ভিত্তি করেই যে যে অংশে মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন আছে বলে বাকি দেশগুলি মনে করে, সে ব্যাপারে উপদেশ দিয়ে থাকে তারা।
আজকের প্রশ্নোত্তর পর্বে ১১২টি দেশের প্রতিনিধিরা ভারতের কাছে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি তুলবে।
কী কী প্রশ্ন আসতে চলেছে ভারতের কাছে?
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে ভারত সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
আর সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধের জন্য বিশেষ আইন তৈরির দিকে কতটা এগিয়েছে ভারত সরকার?
সুইজারল্যান্ড জানতে চাইবে সংখ্যালঘুদের ওপরে হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া অপরাধীদের আড়াল করছেন যেসব সরকারী কর্মী, তাঁদের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করতে ভারত সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন বা আফস্পা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে ভারত সরকার কী ভাবছে? নরওয়েসেটা জানতে চাইবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কী করা উচিত বলে ভারত মনে করে?
আর নেদারল্যান্ড প্রশ্ন তুলবে, যে সাতটি ভারতীয় রাজ্যে ধর্ম-পরিবর্তন রোধ করতে আইন করা হয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে কী করা হচ্ছে?
সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় দ্রুত এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে সরকারী স্তরে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে - এই প্রশ্নও করবে নেদারল্যান্ড।
সব প্রশ্নেরই উত্তর তৈরি করে আজ কাউন্সিলের সভায় হাজির হতে চলেছেন ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল। বিবিসি
মন্তব্যসমূহ