হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাশ্মিরে যাযাবরদের ওপর 'গো-রক্ষক'দের হামলা

ভারত শাসিত কাশ্মিরে একদল যাযাবরের ওপরে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন স্বঘোষিত গো-রক্ষক। ওই ঘটনায় শিশু সহ আহত হয়েছেন ৫ জন। একটি ১০ বছরের ছেলে নিখোঁজ বলে ওই যাযাবর দলটির দাবী।
নিজেদের গরু, ছাগল ভেড়া নিয়ে রিয়াসি জেলা দিয়ে যাওয়ার সময়ে গরু পাচার করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে হামলা চালায় গোরক্ষকরা। পুলিশ জানিয়েছে হামলাকারীদের কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায় নি।
ভারত শাসিত কাশ্মিরের রিয়াসি জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই যাযাবর দলটির ওপরে হামলা চালানো হয়। নিজেদের গরু-ছাগল আর ভেড়ার পাল নিয়ে তালওয়ারা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাদের ওপরে একদল হিন্দু হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যাযাবর দলের সদস্যরা।
তাঁদেরই একজন, নাসিম বেগম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছিলেন যে কীভাবে তাদের ওপরে হামলা চালানো হয়।
নাসিম বেগমের কথায়, "আমাদের একমাত্র উপাজর্নের পথ গরু-ভেড়াগুলো। সেগুলো গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। সঙ্গে ছোট ছোট বাচ্চারাও ছিল। তখনই আমাদের হামলা হয়। লোহার রড, তলোয়ার নিয়ে মারছিল ওরা। মেরে নদীতে ফেলে দিত বোধহয় সবাইকে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল আমাদের মেয়েদের ইজ্জত নেওয়ারও পরিকল্পনা করছে ওরা। হামলাকারীরা সবাই হিন্দু। কোনওমতে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নিই আমরা।"
নাসিম বেগম বলছিলেন হামলার পরে তারা যখন থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন পুলিশের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পান নি তারা।
"হামলাকারীরা আমাদের সব গরু-ভেড়া এমনকি সঙ্গে যে হাতখরচের টাকা ছিল, সেগুলোও সব লুঠ করে নিয়ে গেছে। রাত থেকে দলের কেউ একটুকরো খাবারও খেতে পারি নি। একটা দশ বছরের একটি ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে। সে বেঁচে আছে না মারা গেছে বোঝা যাচ্ছে না," বলছিলেন আক্রান্ত নাসিম বেগম।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে ওই ছেলেটি হামলার সময়ে ভয়ে কোথাও পালিয়ে গেছে কী না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। দুদিনের মধ্যে খুঁজে না পাওয়া গেলে নিখোঁজ ডায়েরী করা হবে।
আর গরু-ভেড়াগুলোও উদ্ধার করা গেছে।
রিয়াসির সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট তাহির সাজাদ বাট বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নি। খোঁজ dচলছে তাদের।
এর আগে রাজস্থানে গরু পাচারের এরকমই অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় এপ্রিলের গোড়ায়। সূত্র: বিবিস

মন্তব্যসমূহ