উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পেছনে নাকি হাত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকারদের। গতকাল রোববার ছোড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র ভাইরাস দিয়ে অকেজো করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখনই ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে সংকেত চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার হ্যাকারদের কাছে। আর সংকেত পাওয়ামাত্র হ্যাকাররা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের ভেতরে থাকা ভাইরাসকে সক্রিয় করে তোলে। আর এতেই ধ্বংস হয়ে যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক পল বিভার বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে, এটা সম্ভব। তাদের সাইবার-সংক্রান্ত সক্ষমতা অনেক উচ্চপর্যায়ের। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) পক্ষে এটা সম্ভব। তারা যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে।
গতকাল রোববার উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে।
উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সিনপো এলাকার কাছে ওই পরীক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং উৎক্ষেপণের পরপরই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন কোরীয় উপত্যকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশটি এরই মধ্যে পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা ও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
এদিকে, চীন কোরীয় উপত্যকায় যেকোনো সময় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জং-আন আমেরিকাকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নিতে সতর্ক করে দেন।
পিয়ংইয়ংয়ে কুচকাওয়াজে ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের বড় ধরনের প্রদর্শনী করা হয় নিজেদের বর্তমান সামরিক শক্তি তুলে ধরার জন্য।
ওই সামরিক প্রদর্শনীতে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সম্ভব। এনটিভি অনলাইন
মন্তব্যসমূহ