গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

৮ বছরের মেয়েটির নিষ্পাপ মুখ কাঁদাচ্ছে সবাইকে

ইয়েমেনে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে ৮ বছরের শিশু নোরা। মার্কিন নাগরিক শিশুটির মৃত্যুর পর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলা নিয়েও।

ভিডিওতে ছোট্ট নোরার মৃতদেহ দেখা গেলেও পেন্টাগন বলছে ওই অভিযানে ১৪ আল কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া মার্কিন নৌবাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন।

কিন্তু ইয়েমেনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতের সংখ্যা ৩০। এদের মধ্যে ১০ জন নারী ও শিশু রয়েছে। নোরা আল আওলাকী তাদেরই একজন।


নোরার বাবা ছিলেন আমেরিকান এবং আল কায়েদার মুখপাত্র। ২০১১ সালে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি। তার ১৬ বছরের ভাইও অন্য এক অভিযানে নিহত হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের এটাই প্রথম সামরিক অভিযান। অভিযানের আদেশ দেয়ার আগে গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি ট্রাম্প। রবিবার ইয়েমেনের কেন্দ্রে মার্কিন বাহিনী এই অভিযান চালায়।

নোরার দাদা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়েটির ঘাড়ে বুলেট লাগার পর দুই ঘণ্টা ধরে রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এই নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে?


যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন এ হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক, এটা অপরাধের শামিল।

ধারণা করা হয়েছিল এই অভিযান ওবামা প্রশাসনের অনুমোদিত, অর্থাৎ ওবামা অফিস ছাড়ার আগে এ নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সোমবার এনবিসি নিউজকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছে।

ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই নানান মন্তব্য করেছেন। প্রায় সাড়ে চারশ মন্তব্যের বেশিরভাগেই এর সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলার তুলনা করা হয়েছে। মন্তব্যকারীরা বলেছেন, যখন ওবামা প্রশাসন ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, সেই সময় অনেক বেসামরিক মানুষ হতাহত হলেও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

কেউ লিখেছেন, ‘মেয়েটির ছবিটি দেখলেই চোখে পানি চলে আসছে।’

আবার কেউ লিখেছেন, ‘এ আর নতুন কী? যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অভিযানে নিষ্পাপ নারী ও শিশুরা প্রায়ই প্রাণ হারায়।’

ফেসবুকে পোস্ট করার ৩ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার বার। ২ হাজার ৮০০ বার শেয়ার করা হয়েছে এটি।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

মন্তব্যসমূহ