হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

যে কারণে মিত্র অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীর ফোন কেটে দিলেন ট্রাম্প

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ট্রার্নবুলের মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে শেষ হয়েছে।

আমেরিকার অন্যতম অনুগত ও বিশ্বস্ত বন্ধু অস্ট্রেলিয়ার নেতার সঙ্গে মার্কিন নতুন কমান্ডার ইন চিফের টেলিফোনালাপ সবচেয়ে অনুকূল হবে- সবার প্রত্যাশা ছিল এটাই।

কিন্তু পরিবর্তে শরণার্থী চুক্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের তীব্র বাদানুবাদ হয়।


শনিবার এই দুই নেতার মধ্যে এ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে জানিয়েছে জ্যেষ্ঠ একজন মার্কিন কর্মকর্তা।

তাদের এই ফোনালাপ কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কথা কিন্তু মাত্র ২৫ মিনিটের মাথায় আচমকা ট্রাম্প তার ফোন রেখে দেন।

ফোনালাপের এক পর্যায়ে ট্রাম্প টার্নবুলের মুখের ওপর বলে দেন, তিনি একই দিনে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ চার বিশ্ব নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এ পর্যন্ত এটিই হচ্ছে তার কাছে সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর’ একটি ফোনালাপ।


অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে একটি চুক্তিকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এই বিরোধ।

ওই চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঠানো ১২৫০ শরণার্থীকে গ্রহণ করবে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা সেসব শরণার্থীকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত করে দেয়া হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।

চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের গ্রহণ করবে।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্র কেন এ দুই হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করবে। অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী বুঝাতে চেষ্টা করেন সেটা দুই হাজার নয়; ১২৫০ জন। তখন ট্রাম্প আবার বলেন কেন ওবামা প্রশাসনের করা চুক্তি তিনি মেনে চলবেন।

একটি তথ্যসূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, ট্রাম্প হঠাৎ করে ফোন রেখে দিয়েছিলেন।

এদিকে টুইটারে নিয়মিত ঝড় তোলা ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে টুইট করেছেন। তিনি সেখানে লিখেন, ‘আপনার বিশ্বাস হয়? অস্ট্রেলিয়া থেকে হাজার হাজার অভিবাসী গ্রহণ করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল ওবামা প্রশাসন। কেন? এই নির্বোধ চুক্তিটি আমি দেখছি।’

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

মন্তব্যসমূহ