জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

প্রথম সামরিক যোগাযোগ উপগ্রহ পাঠাল জাপান (ভিডিও)

 প্রথমবারের মতো সফলভাবে সামরিক যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপন করেছে জাপান। দেশটির সর্ব দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের ঘাঁটি থেকে এ উপগ্রহ পাঠানো হয়। চীন সীমান্তের কাছাকাছি এ এলাকায় গ্যাস সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে টোকিওর সঙ্গে বেইজিংয়ের তীব্র বিরোধ চলছে।

এক্স-ব্যান্ডের উপগ্রহটি ছুঁড়তে মিতসুবিশি এইচ-২এ রকেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে এ সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। ছোঁড়ার পরপরই উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত জুলাইয়ে সামরিক উপগ্রহ পাঠানোর কথা থাকলে তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল। টোকিও থেকে মহাকাশ স্টেশনে নেয়ার পথে উপগ্রহের অ্যান্টেনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জুলাই মাসে আর উপগ্রহ পাঠাতে পারে নি জাপান। অবশ্য এখন সামরিক উপগ্রহ সফলভাবে পাঠানোর মধ্য দিয়ে টোকিওর সে ব্যর্থতা ঘুচলো।


আগামী বছরগুলোতে এক্স-ব্যান্ডের আরো তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে টোকিও। এতে জাপানের ব্রডব্যান্ড সক্ষমতা চারগুণ বাড়বে।

যুদ্ধবিরোধী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বলে এতকাল দাবি করেছে জাপান। কিন্তু সামরিক উপগ্রহ পাঠানোর মধ্য দিয়ে সে নীতি থেকে টোকিও কার্যত প্রকাশ্যেই সরে আসল বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: জাপান টাইমস, রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ