গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

প্রথম সামরিক যোগাযোগ উপগ্রহ পাঠাল জাপান (ভিডিও)

 প্রথমবারের মতো সফলভাবে সামরিক যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপন করেছে জাপান। দেশটির সর্ব দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জের ঘাঁটি থেকে এ উপগ্রহ পাঠানো হয়। চীন সীমান্তের কাছাকাছি এ এলাকায় গ্যাস সমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে টোকিওর সঙ্গে বেইজিংয়ের তীব্র বিরোধ চলছে।

এক্স-ব্যান্ডের উপগ্রহটি ছুঁড়তে মিতসুবিশি এইচ-২এ রকেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে এ সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। ছোঁড়ার পরপরই উপগ্রহকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত জুলাইয়ে সামরিক উপগ্রহ পাঠানোর কথা থাকলে তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল। টোকিও থেকে মহাকাশ স্টেশনে নেয়ার পথে উপগ্রহের অ্যান্টেনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জুলাই মাসে আর উপগ্রহ পাঠাতে পারে নি জাপান। অবশ্য এখন সামরিক উপগ্রহ সফলভাবে পাঠানোর মধ্য দিয়ে টোকিওর সে ব্যর্থতা ঘুচলো।


আগামী বছরগুলোতে এক্স-ব্যান্ডের আরো তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে টোকিও। এতে জাপানের ব্রডব্যান্ড সক্ষমতা চারগুণ বাড়বে।

যুদ্ধবিরোধী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বলে এতকাল দাবি করেছে জাপান। কিন্তু সামরিক উপগ্রহ পাঠানোর মধ্য দিয়ে সে নীতি থেকে টোকিও কার্যত প্রকাশ্যেই সরে আসল বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: জাপান টাইমস, রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ