গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

নারী মূর্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান উত্তেজনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মারক ‘সান্তনা নারী’ মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত দুই জন শীর্ষ স্থানীয় রাষ্ট্রদূতকে দেশে তলব করেছে জাপান।

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে রয়েছে জাপানের দূতাবাস। ডিসেম্বরে ওই দূতাবাসের বাইরে একটি নারী মূর্তি বসায় সুশীল সমাজের একটি দল। বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব নারীকে জোর করে জাপানি সেনাদের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করা হয়েছিল এই মূর্তি তারই প্রতীক।

জাপানের মন্ত্রীপরিষদের মূখ্য সচিব ইয়োশিহিদে সুগা শুক্রবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।


তিনি বলেন, শুধু দু’জন কূটনীতিককে দেশে তলব করার মধ্যে শেষ নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় বিষয়ে যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তা-ও স্থগিত করবে টোকিও। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে অর্থনীতি সংক্রান্ত আলোচনা শুরুর পর্বও বিলম্বিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাকে খর্ব করতে ওই নারীমূর্তি বসানো হয়েছে। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই অস্থায়ী ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ও কনসুলেট জেনারেলকে তলব কর হয়েছে।

তার এ বক্তব্যের জবাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে জাপানের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আরো একবার আমাদের সরকার বলছে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন জটিল ইস্যু থাকলেও দু’দেশের সরকার আস্থার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি অব্যাহত রাখবে।

প্রসঙ্গত, নির্যাতিত নারীদের বিষয়ে দু’দেশ ২০১৫ সালে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নির্যাতিত যেসব নারী এখনো বেঁচে আছেন তাদেরকে সহায়তা করতে ১০০ কোটি ইয়েন দিতে সম্মত হয় জাপান। তবে জাপানের এমন চুক্তির সমালোচনা করে নির্যাতিত নারীদের অধিকার বিষয়ক দল। তারা এ ঘটনাকে কূটনৈতিক অবমাননা বলে আখ্যায়িত করেছে।

উল্লেখ্য, প্রায় দুই লাখ নারীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাদের যৌনদাসী বানানো হয়েছিল। এর বেশির ভাগই কোরিয়ান নারী। এর বাইরে আরো যেসব নারী ছিলেন তারা ছিলেন চীনা, তাইওয়ানের ও ইন্দোনেশিয়ার।

সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ