হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শরণার্থীরা কানাডায় স্বাগত: জাস্টিন ট্রুডো

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কয়েকটি মুসলিম দেশের শরণার্থী বা অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শরণার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন জাস্টিন ট্রুডো। শরণার্থীদের নিজ দেশে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
টুইটারে জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন "ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধপীড়িত অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরা কানাডায় স্বাগতম।বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি"।
সাতটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় শরণার্থীদের কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের জন্য কানাডার দরজা খোলা।'
তিনি এ জন্য হ্যাশট্যাগ "ওয়েলকামটুকানাডা" চালু করেন।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলার পর কানাডার কর্মকর্তারা জানান, "যাঁদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, তাঁরা ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না"।
"কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে"।
অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্পের অব্যাহত সমালোচনার মধ্যেই আরও একটি টুইট করেন জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ২০১৫ সালের এই ছবিতে তাকে কানাডার বিমানবন্দরে একজন সিরিয়ান শরণার্থীকে স্বাগত জানাতে দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর গত শনিবার বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়।
তবে তাদেরকে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন একটি আদালত। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ