জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

জার্মানিতে মার্কিন সেনা, রাশিয়ার জন্য সতর্কবার্তা!

জার্মানি পৌঁছেছে চার হাজার মার্কিন সেনা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশে সেনা মহড়ার অংশ এটি। তবে এটা যে রাশিয়ার প্রতি একটা সতর্কবার্তা, তা দেশটির কর্তাব্যক্তিদের ইঙ্গিত থেকে বোঝা যাচ্ছে।

স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো থেকে জার্মানির ব্রেমারহ্যাভেনে ওই সৈন্যদল পৌঁছায়। সেনাসদস্যদের সঙ্গে ট্যাঙ্ক, কামানসহ দুই হাজার ৪০০টি যুদ্ধযান পাঠানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী ও যুদ্ধযানগুলো এরপর পাঠানো হবে পোল্যান্ডে। সেখান থেকে সেনা ও যুদ্ধযানগুলো ইউরোপের সাতটি স্থানে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।

জেফ ডেভিস নামের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদর দপ্তর পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কথা আপনারা জানেন। এটা এমন একটা বিষয়, যে বিষয়ে আমাদের মিত্র ও অংশীদাররা খুবই সচেতন।’

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিম রে বলেন, ‘আমাকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে দিন। রাশিয়ার আগ্রাসন দমাতে আমাদের বিভিন্ন কৌশলের অংশ এটি। আমাদের মিত্রদের জন্য নিরাপদ ভূখণ্ড নিশ্চিত করা এবং একটি বৃহৎ, মুক্ত, উন্নত ও শান্তিপূর্ণ ইউরোপ গড়তে আমরা সচেষ্ট।’

রে আরো বলেন, ইউরোপ মহাদেশে আকাশ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া মিত্রদের সঙ্গে অস্ত্রের আদান-প্রদান ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো হয়েছে। সিএনএন/এনটিভি

মন্তব্যসমূহ